সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির প্রধান শাজাহান খান

কলকাতা এয়ারপোর্ট নিয়ে, অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু পরামর্শ….
কলকাতা এয়ারপোর্ট নি:সন্দেহে বেশ পরিপাটি এবং গুছানো একটা এয়ারপোর্ট। প্রথম ধাক্কায়-ই “বিদেশ আয়া পড়ছি” টাইপ একটা ফিল হবে… :p
তারপরেও কিছু ব্যাপারে সতর্ক থাকলে, আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হবে।
১. দেশ থেকে ফ্লাই করার আগে, অবশ্যই যেই সিটিতে যাচ্ছেন, সেই সিটির কোন একটা একটা হোটেল বা গেস্ট হাউজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর টুকে নিয়ে যাবেন।
কারণ ইন্ডিয়াতে ঢুকার পর পর-ই একটা Arrival Form ফিল আপ করতে হয়। ওখানে ঠিকানা মাস্ট।
যদি আপনি মেডিকেল/ এটেন্ডেন্ট ভিসায় থাকেন, তারপরেও এই কাজটা করবেন। আর টুরিস্টদের জন্য তো মাস্ট।
Not necessarily, আপনাকে ওই ঠিকানায় উঠতে হবে। এটা জাস্ট একটা ফর্মালিটি।
আর নামার পরে, সাথে সাথে wifi নাও পেতে পারেন। তাই ঠিকানাটা মোবাইলে সেভ করে অথবা কাগজে লিখে ফেলা উত্তম।
২. এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশান অফিসারের সামনে সততার পরিচয় একটু কম দেখানোটাই ভাল। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় ইন্ডিয়াতে আসেন আর বলেন, মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট/ এটেন্ডেন্ট হিসেবে এসেছি, তখন উনারা হালকা ঝামেলা করতে পারে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়াতে, এটা না বলা-ই উত্তম।
টুরিস্ট ভিসায় আসলে, সিম্পলি ঘুরতে এসেছি, এটা বলেই ঢুকে পড়া ভাল।
আর মেডিকেল ভিসা হলে, মেডিকেলের নাম-ধাম ঠিকমত জেনে যাবেন।
২. ইন্ডিয়ান কোন সিম ছাড়া, কলকাতা এয়ারপোর্টে কোন wifi zone এ রেজিস্টার করতে পারবেন না। তাই আগে থেকে কোন পরিচিত লোকের থেকে একটা ইন্ডিয়ান সিম নিয়ে রাখা ভাল। প্রতিদিন ১ গিবি হিসেবে, wifi ইউজ করতে পারবেন।
৩. যদি আপনার পরদিন ভোরে কোন ট্রান্সফার ফ্লাইট থাকে, তাহলে এয়ারপোর্টে নাইট স্টে করবেন নাকি হোটেলে থাকবেন, এটা এয়ারপোর্টে বসেই ডিসাইড করবেন। কারণ একবার এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে গেলে, আর ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জে ঢুকা পসিবল না। এরপরে আপনাকে ডমেস্টিক লাউঞ্জে অয়েট করতে হবে।
ডমেস্টিক ওয়েটিং লাউঞ্জটা দুইতলায়। কোন টয়লেট নাই। প্রতিবার এরাইভাল লাউঞ্জে এসে ২ রুপির বিনিময়ে টয়লেট সারতে হবে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জটা বেশ চমৎকার। এখানে টয়লেট/বসার ব্যাবস্থা সবই চমৎকার। তাই রাত কাটানোর জন্য এটাই ভাল অপশন।
কিন্তু রোগী যদি বেশ অসুস্থ থাকে, তাহলে এয়ারপোর্টে রাত কাটানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি আপনি এনার্জিটিক হন, তাহলে রাত কাটানো ইজি।
এয়ারপোর্টের ভেতরে রাত কাটানোর প্ল্যান থাকলে, একটা চাদর নিয়ে যাবেন। কারণ এদের এসি বেশ ভাল ঠান্ডা। মাঝরাতে বেশ শীত লাগে।
৪. হোটেলে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে, এয়ারপোর্টের ২/৩ নং গেট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে নেবেন। ভাড়া নেবে ২০০ রুপির মত। এয়ারপোর্টের ২-৪ কিলোমিটারের মধ্যে ১২০০-২০০০ রুপির মধ্যে রুম পাবেন। কিন্তু এই ব্যপারে, টেক্সি ড্রাইভারকে আগে হোটেলে ফোন করে নিশ্চিত হতে বলবেন, রুম এভেইলেবেল কিনা। এতে করে, অহেতুক ছোটাছুটির ঝামেলা থাকবে না।
আপনার যাত্রা শুভ হোক, এই কামনা করি।